
প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। মুহতারাম শায়খ আহমাদুল্লাহ
১ম প্রশ্নঃ দেখতে পাচ্ছি বোন জান্নাতুল ফেরদাউস আপনি জানতে চেয়েছেন আয়াতুল কুরসি পড়ে হাতের মধ্যে জোরে জোরে তিনটা তালি দিলে তালির আওয়াজ যতদূর যাবে ততদূর শয়তান আসতে পারবে না এটা কতখানি সত্যি?
বোন জান্নাতুল ফেরদৌস আয়াতুল কুরসি আয়তন সম্পর্কে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম থেকে একাধিক হাদীস বর্ণিত রয়েছে এর ফজিলত এবং মর্যাদা প্রসঙ্গে .তার একটি মর্যাদার বিষয় এই যে যেই বাসায় ,ভবনে বা বাড়িতে বা জায়গায় বসে আয়াতুল কুরসি রাতের বেলায় তেলাওয়াত করা হয় সেখানে আল্লাহ রব্বুল আলামীন চুরিদারি এগুলো থেকে তাদেরকে হেফাজত রাখেন অতএব আয়াতুল কুরসির ফজিলত এই হাদিসে প্রমাণিত, যে সেখানে আতুল কুরসী পাঠ করলে চুরি হবে না ওই রাতে।কিন্তু এর মানে এই নয় যে যেমনটি আপনি বলেছেন যে তিনবার তালি দিতে হবে এবং তালির আওয়াজ যতদূর যাবে ততদূর আপনার প্রোডাকশনের চলে আসবে এমনটি নয় কি
২ম প্রশ্নঃ নুসরাত জাহান আপনি জানতে চেয়েছেন নফল নামাজে ইচ্ছে করে সেজদায় গিয়ে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে কি নামায বাতিল হয়ে যাবে
ইচ্ছে করে চাওয়া বলতে আপনি কি বুঝিয়েছেন যদি আল্লাহর ভয় আপনি অন্তরে জাগ্রত করে আল্লাহর স্মরণ অন্তরে এনে যদি আল্লাহর ভালোবাসা আল্লাহর ভয়ে যদি আপনি কান্না আনতে পারেনতা হলে সে তো ভালো এবং সেই কান্না নামাজ ভঙ্গের কারণ হবে না কিন্তু যদি অন্য কোন জাগতিক কারণে কান্না হয় আপনি কোন বিপদে আছে বিপদের কারণে আপনি অন্য কোন কারণে বা ব্যথা হচ্ছে সে কারণে কাঁদলেন তাহলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে কিন্তু আল্লাহর ভয়ে জাগ্রত করে আল্লাহকে স্মরণ করে কাঁদলেন দুনিয়াবী কোন কারণে কান্নাকাটি করলেন না তাহলে নামায ভঙ্গ হবে না
৩ ম প্রশ্নঃফরহানা আহ্মেদ আপনি জানতে চেয়েছেন, আমি যে ফ্লাইটে বাস করি তা কেনার জন্য লোন নিয়েছি 10 বছরে্ যা মূলত ইন্টারনেটসহ আমাকে প্রতি মাসে শোধ করতে হয়। আল্লাহ তায়ালা করুনার ওসিলায় হেদায়েত করেছেন আলহামদুলিল্লাহ সব বিষয় হারাম হালাল মানার চেষ্টা করছি কিন্তু চাইলেই ঠিক করে ফেলতে পারছি না এমতাবস্থায় আমার দোয়া ও ইবাদত কবুল হবে কিনা অবস্থা অনেক করণীয় কি ?
ফারহানা আহমেদ প্রথমে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি আপনি হারামকে হালাল আসার জন্য সিরিয়াস হয়েছেন আল্লাহ আপনাকে তৌফিক দান করুন এবংএ পথে অবিচল অটল থাকার।এরপরে বলতে চাই যে সুদের ব্যাপারে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনে কারীমে যে ঘোষণা দিয়েছেন সেটা হলো যে যখনই আমরা জানলাম যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হারাম করেছেন তখনই আমরা থেকে সরে আসবো যেটুকু ইতিপূর্বে হয়ে গেছে তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো এবং নতুন করে আর কোন চুক্তিতে যাব না আর আগের যে চুক্তি হয়েছে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে ।
৪ম প্রশ্নঃমিজানুর রহমান জানতে চেয়েছেন মহিলাদের সিজার করার ব্যাপারে ইসলামী শরীয়ত কি বলে?
ভাই মিজান, ইসলামের শরীয়তে সিজার করার ব্যাপারে বিশেষ কোনো বিধিনিষেধ নেই ।কারণ জাগতিক বিষয়ে মুল বিধান হল সবই হালাল যদি কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকে। তো সিজার করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নেই কোন মায়ের গর্ভস্থ সন্তানকে বের করে আনার জন্য অপারেশন করার প্রয়োজন হয় তাহলে সে ব্যাপারে শরীয়তের কোথাও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি ট্রিটমেন্ট এর অংশ হিসেবে আপনার এরকম কিছু করা যাবে না এরকম কোন নিষেধাজ্ঞা যেহেতু নাই অতএব এটি হালাল।এটাকে হারাম বলার কোন কারণ নেই। শরীয়ত যেটাকে হারাম বলে নি সেটা হারাম হয় না। শরীয়তে সব হালাল জাগতিক এবং দুনিয়াবী বিষয়ের ক্ষেত্রে সবি হালাল । শুধু যেগুলোকে নিষেধ করেছে সেগুলো হারাম ।সিজার বিষয়টির ওপর নিষেধাজ্ঞা নাই অতএব এটি হালাল, যদি প্রয়োজন হয়। তবে প্রয়োজন সারা সিজার করা এটা অনুচিত, আল্লাহ তায়ালার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় যথোপযুক্ত ব্যবহার করা ।অনেক মা-বোনেরা আজকাল সিজার করছেন আপনার শখের বশে বা সৌখিনতা বসে । তার মনে তিনি কষ্ট করতে চাচ্ছেন না বা এজাতীয় কারণে সিজার করা হয় আমরা শুনে থাকি সেটা খুবই নিন্দনীয় হবে। কারণ হলো বিনা প্রয়োজনে নিজেকে কষ্ট দেওয়া বা নিজের ক্ষতি করা নিজেকে কষ্টের মধ্যে ফেলে দেওয়া ,এরপর সন্তান চাইলেও আর নির্দিষ্ট সংখ্যার পর সন্তান নেওয়া যাবে না। ফেলা উচিত যদি শেয়ার করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে তার শারীরিক বিভিন্ন আপনার অসুবিধে থেকে রক্ষা পাবেন অথবা তার মনের মত কিছুই হবে তুমি কষ্ট করতে চাচ্ছেন না আবার জাতীয় কারণে সিজার করা হয় আমরা শুনে থাকি সেটা খুবই নিন্দনীয় হবে কাল বিনা প্রয়োজনে নিজেকে কষ্ট দেওয়া নিজের ক্ষতি করা নিজের মধ্যে ফেলে দেওয়া এরপর সন্তান চাইলেও আর নির্দিষ্ট সংখ্যক পরান নেওয়া যাবে না তাই ইচ্ছাকৃতভাবে সিজার করা যাবে না যদি প্রয়োজন না হয়