প্রশ্নঃ আযলের পরিচয়, উদ্দেশ্য এবং ইসলামের আযলের বিধান কি?

 প্রশ্নঃ আযলের পরিচয়, উদ্দেশ্য এবং ইসলামের আযলের বিধান কি?

 উত্তরঃ আযল কি। عزل শব্দটি আরবি এর অর্থ স্থানচ্যুত স্খলন করা ইত্যাদি। পরিভাষায় যৌন মিলনের সময়  পুরুষাঙ্গ স্ত্রী অঙ্গের তার থেকে বের করে  নেয়া  যেন শুক্র স্ত্রীর অঙ্গের ভিতরে স্খলিত হওয়ার পরিবর্তে বাইরে স্খলিত হয় ।


আযলের উদ্দেশ্য ঃ


 আযল সম্পর্কে নানাবিধ মত রয়েছে। তাই সোনালী যুগের লোকে কেন আযল করত তা অনুধাবনের জন্য সে যুগের আযললের উদ্দেশ্য গুলো জানা আবশ্যক। সে যুগে তিনটি কারণে মুসলমানদের মধ্যে আযল  এর প্রচলন ছিল।

ক. দাসীর গর্ভে নিজের কোন সন্তান জন্মানো তারা পছন্দ করত না। সামাজিক হীনতার কারণে তারা এটা কত।

খ. দাসীর গর্ভে কারো সন্তান  জন্মালে  উক্ত সন্তানের মাকে আর হস্তান্তর করা যাবে না ,অথচ স্থায়ী ভাবে  কোন দাসীকে তারা নিজের কাছে রেখে দিতে প্রস্তুত ছিলনা ।

গ. দুগ্ধপায়ী শিশুর মা পুনরায় গর্ভধারণ করলে প্রথম শিশুর স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা  অথবা বিপর্যয়ের আশঙ্কা কিংবা সন্তান প্রসবের অনুপযুক্ততা  চিকিৎসকের যথাযথ পরামর্শের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ।


 ইসলামের বিধান মোতাবেক বর্তমানে প্রথম দুটি কারণ বিলুপ্ত হয়েছে। শেষের ধারণাটি ছাড়া শুধুমাত্র নিজেদের আমোদ প্রমোদ সম্পদ অথবা নিজেকে কামনীয় করে ধরে রাখতে আযল বা জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা বৈধ নয়।

 

ইসলামে আযলের বিধানঃ

আল্লাহ তা'আলা এই পৃথিবীতে কোন কিছু অনর্থক সৃষ্টি করেননি। আবার পৃথিবীর হাজারো সৃষ্টি  রহস্যের বিস্তার পৃথিবীর সব এলাকায় সব পরিবেশের জন্য সমান নয়। তদুপরি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ,সমাজ,মানুষ ও পরিবেশের উপযুক্ততা ও চাহিদা ও এক নয় ।মানুষের হিসাব নিকাশ ভুল হতে পারে। কিন্তু আল্লাহর  বিচারের সমগ্র পৃথিবীকে তিনি একটি ভারসাম্যপূর্ণ করে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির সেই ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে পবিত্র কোরআনের নির্দেশনার দিকে  একটু নজর দিলেই জন্মনিয়ন্ত্রণের বিধান সম্পর্কে অনুধাবন করা যাবে।

 মানুষ সৃষ্টি সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন,আমি পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি প্রেরণ করেছি। সেই প্রতিনিধি আমরাই এবং আমরাই তার এবাদত বন্দেগী করব। আল্লাহ তায়ালা বলেন আমি তোমাদেরকে উত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি ।

 আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে সন্তান সম্পর্ক বলেন ,


সুতরাং তোমরা সন্তানকে দারিদ্রতার আশঙ্কায় হত্যা করো না ।সূরা কাহাফ আয়াত ন.৪৬

 আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,

 দারিদ্র্যের কারণে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না, আমিই তোমাদেরকে রিযিক দান করি এবং  তাদেরকেও আমি রিজিক দান করব।সূরাতুল আনআম আয়াত ন.১৫১

  অন্যত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন , إِنَّ قَتْلَهُمْ كَانَ خِطْئًا كَبِيرًا


তাদেরকে হত্যা করা মারাত্মক ভুল।সুরা বনি ইসরাইল আয়া.৩১  


Please Select Embedded Mode For Blogger Comments

أحدث أقدم